তৃতীয় পর্ব : পরিচয় এবং ফুন্টশোলিং…
অবশেষে এসে গেল সেই দিন। সকাল থেকে ঝমঝম করে বৃষ্টি, বাড়ির সবার মুখ গোমড়া কেবল আমিই নির্লিপ্ত। খাটের ওপর শুয়ে আছি পায়ের ওপর পা তুলে আর ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে আমার রুকস্যাক। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ধরতে হবে শেয়ালদা থেকে; কাকা যাবে সঙ্গে স্টেশনে ছাড়তে।
বাড়ি থেকে বেড়িয়ে, আফরোজ কে তোলা হল। গাড়িতে উঠেই আফরোজ প্রথম কথা বলল,
-“ভাই, অর্পণ যাচ্ছে না…”
-“মানে অর্পণ কুন্ডু ? কেন তার কি হল ?”
-“ওর প্রথম থেকেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না, তাই ফেসবুকে ওইসব পোস্ট করছিল… কাল পরীক্ষার পর বলেছে যাবে না।”
এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আগের দিন আমাদের ‘নেট’ পরীক্ষা ছিল।
বৃষ্টি মাথায় করে স্টেশনে পৌছে গেলাম। আমি আর আফরোজ বেড়ানোর ব্যাপারে একটু বেশীই এগিয়ে থাকি, তাই স্টেশনে পৌছোনোর ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হল না; সবার আগে স্টেশনে পৌঁছে, আমাদের সহযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। এক এক করে তারা এসেও পড়লেন ।
এখন, কথায় আছে, ‘পহিলে দর্শনধারী, পিছে গুনবিচারী…’
তা যখন আমার সহযাত্রীদের দর্শন পেলাম, দেখলাম প্রায় প্রত্যেকেই একটা প্রমাণ আকারের ট্রলি ব্যাগ, একটা করে ছোট ব্যাকপ্যাক আর অনেকে তার সাথে একটা এক্সট্রা ব্যাগ নিয়ে এসে হাজির হল; তখন অনেক কষ্টে একটা করে রুকস্যাকে নিজেদের জিনিস গোছানো আমি আর আফরোজ এ ওর মুখের দিকে তাকালাম, যে তাকানোর মধ্যে একটাই বাক্য লুকিয়ে ছিল;
-“এরা ট্রলি নিয়ে ট্রেকিং করবে? তুই পাগল, না আমি পাগল ?”
যাই হোক। আমি নতুন লোকেদের সাথে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ কখনোই করতাম না। তাই এক জায়গায় চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলাম, একটি ছেলে নিজে থেকেই এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিল,
-“হাই… আমি অর্ক… অর্করুদ্র…”
আমিও নিজের নাম বলে পরিচয়পর্বটা সেরে ফেললুম। লোকজন তখন অর্পণ কুন্ডুর মুন্ডু নিপাত করতে ব্যাস্ত।
সময়মত ট্রেনও এসে গেল স্টেশনে; আর আমরা চড়েও বসলাম। বসে আমাদের যাত্রাপথের কর্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হল। কাল সকালে আমরা নামব ফালাকাটা-এ; তারপর সেখান থেকে বাসে করে জয়গাঁও, আর জয়গাঁও গেট পেড়িয়ে ফুন্টশোলিং। সেখান থেকে থিম্ফুর বাস ধরতে হবে। কিন্তু তার আগে ফুন্টশোলিং-এর ইমিগ্রেশান অফিস থেকে পারমিট করাতে হবে। এখন সেখানেও বড় সমস্যা। আমাদের দলের কনিষ্ঠতম সদস্য অর্নব লাহা, ট্রেনে বসেই যার নাম ‘লাহা’ ধার্য করা হল কারণ সঙ্গে আর এক অর্ণব আছে এবং সিনিয়ার হিসেবে, তাকে নাম ধরে ডাকা হবে, আর লাহা কে পদবী।
তা, ভূটানে পারমিট করার জন্য দরকার পাসপোর্ট, নয়তো ভোটার কার্ড; তখন সদ্য চালু হওয়া আধার কার্ড দিয়ে হবে না বলেই সবার ধারণা। সেটা না হলে আবার ফুন্টশোলিং-এ ভারতীয় এম্ব্যাসী গিয়ে ডিক্ল্যারেশন নিয়ে আসতে হতে পারে। এ প্রয়োজন লাহার হতে পারে; কারণ তার পাসপোর্ট বা ভোটার কার্ড তখনো হয়নি…
আবার কথা শুরু হল আমাদের যাত্রাপথ নিয়ে। কাল সন্ধ্যের মধ্যে আমরা থিম্ফু পৌছে যাচ্ছি; আর সেখানেই রাত্রিবাস। পরদিন থিম্ফুতেই ঘোরা আর তারও পরের দিন পুনাখা থেকে ঘুরে আসা। তৃতীয় দিন থিম্ফু ছেড়ে বেড়িয়ে হা ভ্যালি (হাভেলী নয়…) হয়ে “পারো”তে পৌঁছোনো, পরদিন পারো থেকে একদিনের ট্রেক “তাক-সাং আখাং” বা তাক-সাং মনেস্টারী বা টাইগার্স নেস্ট মনেস্টারী তে। তারও পরের দিন পারো তে সাইট সিয়িং এবং ষষ্ঠ দিনে পারো থেকে ফুন্টশোলিং-এর বাস ধরা; রাতে ফুন্টশোলিং-এ থেকে, পরের দিন সকালে আবার ফালাকাটা থেকে যাত্রা শুরু।
বাকীদের সাথেও পরিচয় হয়ে গেল। আমার সহযাত্রীরা মোটের ওপর মন্দ নয়। অন্তত বেশিরভাগ লোকই। এর মধ্যে অর্ঘ্যর সাথে আমার হৃদ্যতা চট করে একটু বেশীই হয়ে গেল, কারণ আমরাই দু’জন যারা সঙ্গে গল্পবই নিয়ে এসেছিলাম রাতে পড়ার জন্য। আমাদের ট্যুর প্ল্যানার হল ধ্রুব; যার ডাক নাম অচিরেই ‘ধোবো’ হয়ে উঠল আফরোজের প্রচেষ্টায়। শুধু গোটা বিকেল আর সন্ধ্যে কাটিয়ে সবাইকে চিনে গেলাম, এরকম দাবী করতে চাই না; কিন্তু একবার অন্তাক্ষরী খেলার কথা হয়েছিল, তখন অর্করুদ্র বলেছিল,
-“না ভাই… আমি গান গাইলে প্রবলেম হয়ে যাবে; লোক জমে যাবে, আরও গাইতে হবে…”
হ্যাঁ অর্কর গানের গলাটা ভারী সুন্দর ছিল, কিন্তু তার চেয়েও বেশী ছিল তার কনফিডেন্স। এখন অন্তাক্ষরী ব্যাপারটা অনেকেরই না-পসন্দ হওয়ায়, আফরোজ ব্যাগ থেকে ব্রহ্মাস্ত্রটা বের করল;
-“আয়, তোদের একটা নতুন খেলা শেখাই…”
এই বলে সে সন্তর্পণে UNO-এর কার্ডগুলো বের করল।
এখন এত অবধি পড়ার পর, যারা ‘UNO’ ব্যাপারটার সাথে পরিচিত, তারা মুচকি মুচকি হাসতে শুরু করে দিয়েছেন; বাকী যারা জানেন না, তাদের জন্য একটু হালকা চালে বুঝিয়ে বলছি খেলাটা কিরকম।
রাতের… ট্রেনে… UNO-এর… আসর… (ছবি – অর্ণব লাহা)
খেলাটা অনেকটা রংমিলান্তির মতো। রং এবং নম্বর মিলিয়ে হাতের কার্ড শেষ করতে হয়। কিন্তু তার মাঝে আছে নানান বিপত্তি; খেলা উল্টোদিকে ঘুরে যায়, দান মিস হয়, রং বদলে দেওয়া যায়, আর সবচেয়ে সাংঘাতিক হল রং বদলে, হাতের চারটে কার্ড বাড়িয়ে দেওয়া ‘Wild +4’ কার্ড।
আর UNO যতবারই খেলতে বসা হয়, ততবারই ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই সেটা খেলা থেকে এমন জায়গায় চলে যায়, যে মনে প্রতিশোধস্পৃহা জেগে ওঠে…
-“তুই আমাকে দান মিস করালি ? দাঁড়া দেখছি তোকে…”
-“তুই প্লাস ফোর দিলি ? তুই কি করে খেলা ছেড়ে উঠিস আজ দেখি…”
আর তারপর শুরু হয় চক্রান্ত।
-“ভাই, ওকে উঠতে দেওয়া যাবে না… তোর কাছে প্লাস ৪ আছে ? ওকে বাঁশ দে…”
কত বন্ধুত্বের মাঝে যে বার্লিন ওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে গেছে ওই Wild +4, তার ইয়ত্তা নেই।
UNO-এর ব্যাপারে এত লেখার কারণ একটাই, আমাদের এই ভুটান সফরে UNO-এর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে; সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য। যাই হোক, খেলা শেষ করে ট্রেকিং নিয়ে একটু আলোচনা করা হল; আমি আর আফরোজ ছাড়া, ‘টাইগার্স নেস্ট মনাস্টারি’ বাকী সকলের প্রথম ট্রেক। অন্তত আমরা তাই জানতাম; কিন্তু ট্রেক নিয়ে কথাবার্তা শুরু হওয়ার পর, অর্করুদ্র সগর্বে ঘোষণা করল, তারও এটা দ্বিতীয় ট্রেক, সে আর আগে চার বছর বয়সে কেদারনাথ ট্রেক করেছে। টুপিতে এরকম পালক থাকা অবশ্যই ইর্ষনীয়, কিন্তু কথায় কথায় সে স্বীকার করল, চার বছর বয়সে কেদারনাথ গেছে, বাবার কোলে চড়ে…
কিন্তু ট্রেকের প্যাঁচপয়জার কিছুই সে নাকি ভোলেনি, এবং গতকালই ট্রেক উপলক্ষে নতুন জুতো কিনে সিধে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সে ব্যাপারে আমি মিনমিন করে বললাম, নতুন জুতো, সেটা ক’দিন না পড়ে ট্রেক করাটা কি নিরাপদ হবে? তাতে সে আমার আশঙ্কা হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলল, তার ‘অভিজ্ঞতা’য় একেবারেই এরকম কিছু বলে না…
ট্রেনের দুলকিতে কেমন ঘুম হবে সে তো জানাই কথা। তবে রাতে বৃষ্টি আর ফেরত আসেনি ভাগ্য ভাল। সকালে ফালাকাটায় নেমে জয়গাঁও-এর বাস ধরামাত্র, যে কোনও কারণেই হোক, ধোবো-এর বেদম ঠান্ডা লাগতে শুরু করল। তাই সে গায়ে একটা সোয়াটার বা জ্যাকেট না চাপিয়ে মাথায় ভালো কর একটা মাফলার জড়িয়ে নিল। আমি বুঝলাম না, এতে কি ঠান্ডা আটকাবে!
আমাদের প্ল্যান ছিল এই, প্রথমে ফুন্টশোলিং-এ গিয়ে পারমিট নেওয়া, তারপর ভুটানের সিমকার্ড নেওয়া আর তারপর থিম্ফুর বাসের টিকিট কেটে, তাতে চড়ে বসা।
এখন পারমিট অফিস পৌঁছে দেখা গেল, ট্যুরিস্ট পারমিট এবং ওয়ার্কার পারমিটের দু’টো লাইন পড়েছে এবং দু’টোতেই লোক গিজগিজ করছে। হায় রে অফ সীজন !

ক্যামেরার পেছনে আমি…
তা সেই লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছে বোঝা গেল, আমাদের সব ঠিক আছে, কিন্তু লাহাকে একবার ভারতীয় দূতাবাস-এ গিয়ে লিখিত অনুমতি না নিয়ে এলে হবে না। তাই লাহা এবং ধ্রুব সেদিকে রওনা হয়ে গেল, আর আমরা আমাদের পারমিট পাওয়ার কাজে লেগে গেলাম। কিন্তু একটু বাদেই বোঝা গেল, আর এক বিপত্তি হয়েছে। লাহা নিজের ব্যাগ মনে করে হিমাদ্রীর ব্যাগ, যেটা একই রঙের, সেটা তুলে নিয়ে চলে গেছে। তাই অগত্যা হিমাদ্রীকেই ব্যাজার মুখে লাহার ব্যাগ নিয়ে যেতে হল ওদের কাছে।
আমাদের পারমিটের কাজ শেষ হতে বেশীক্ষণ লাগল না, খালি বাকী রইল লাহা, ধোবো এবং হিমাদ্রী। প্রায় একঘন্টা পর, হাঁপাতে হাঁপাতে, ঘর্মাক্ত কলেবরে যখন তিনজনে কাউন্টারের সামনে পৌছোল, তখন একঝলক ধোবো-র মাফলার জড়ানো বদন দেখে কাউন্টারের উল্টোদিকের লোকটি ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে যা বলল, তার মর্মাথ হল,
-“ওয়ার্কার পারমিটের লাইন এটা নয়…”
ধ্রুব বিপন্নভাবে বোঝাতে উদ্যত হল যে আমরা ট্যুরিস্ট, ওয়ার্কার নই, কিন্তু তিনি মানতে নারাজ। শেষে আমাদের হস্তক্ষেপে তিনি পারমিট দিতে রাজি হলেন, কিন্তু তারপর আবারও, ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে বললেন,
-“বলছ ট্যুরিস্ট, দিয়ে দিচ্ছি… কিন্তু থিম্ফু গিয়ে কাজ খুঁজলে ঠ্যাং ভেঙে দেব…”
বেজার মুখে ইমিগ্রেশান অফিস থেকে বেরোনোর পর অর্ণব, ধ্রুব আর লাহা গেল সীম কিনতে, আর আমরা গেল বাসস্ট্যান্ডে। গিয়ে আবার একটা ধাক্কা। থিম্ফুগামী সব বাসের আগামী তিন দিনের সব সীট বুকড…
হা আমার পোড়া কপাল !!!
এবার একমাত্র উপায় শেয়ার ট্যাক্সি… যদিও আটজন আছি যখন, তখন একটা গোটা ট্যাক্সিতেই আমাদের কাজ চলে যাবে। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গিয়ে কথা বলে বোঝা গেল, যা ভাড়া হাঁকছে, তাতে বাসের ডবলের মত ভাড়া পড়ছে। দরদাম করেও কিছু লাভ হল না। তাই ভাবলাম, যারা সিম কিনতে গেছে, তারা আসুক, এলে তারপর আবার চেষ্টা করা যাবে।
বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটা “ওয়েটিং চাতাল” ছিল, সেখানেই বসলাম। আর এইবার একটু ভালো করে ফুন্টশোলিং জায়গাটাকে দেখতে পেলুম। জয়াগাঁও আর ফুন্টশোলিং। একদিকে ভারত, একদিকে ভুটান। মাঝে শুধু একটা দরজার ব্যবধান। কিন্তু জয়গাঁও যতটা ঘিঞ্জি, ফুন্টশোলিং ততটাই খোলামেলা, সাজানো।
ওপারেই ভুটান… (ছবি – আফরোজ এহসান)
বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে সুন্দরী কয়েকজন রমণী ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। যারা মনে মনে মঙ্গোলীয় ধাঁচ-এর কথা ভেবে একটু নাক সিঁটকাচ্ছেন, তারা হয় ভুটান যাননি, না হয় মেয়েদের পর্যবেক্ষণ করার প্রতিভাটা হারিয়ে ফেলেছেন। আমি আগেই স্বীকার করে নিচ্ছি মশাই… সদ্য ব্রেকআপ হয়েছে, হরমোনের দল শিরায় শিরায় নাচানাচি করছে, তখন মেয়ে দেখব না তো করবটা কি ?
আমাদের আশেপাশে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, পোশাক আশাক দেখে মাঝে মাঝে ভুটান কে পশ্চিমের কোনও দেশ মনে হচ্ছিল; এবং তাদের চরণযূগলে বসনের অনাধিক্য দেখে, সদ্য সিঙ্গেল আমি এবং চির সিঙ্গেল অর্ক গান ধরলাম…
চরন ধরিতে দিয়োগো আমারে নিয়োনা, নিয়োনা সরায়ে…
এমন সময় ‘তাশি সেল’-এর তিনখানা সিম নিয়ে এসে হাজির হল বাকী তিনমূর্তি। এবার আটজনেই যাওয়া হল গাড়ির দরদাম করতে। অনেক চেষ্টাচরিত্রের পর, অর্ঘ্য একটা বুদ্ধি বার করল, সে এক ট্যাক্সিওয়ালাকে মার্লন ব্র্যান্ডো সূলভ একটা সংলাপ দিল।
I’ll Make You an Offer you Can’t Refuse…
মোদ্দা কথা, অর্ঘ্য ড্রাইভারটিকে বোঝালো, দেখো ভাই… আটজন আছি, থিম্ফু ঘুরব, পুনাখা, পারোতেও যাব, কমসম নাও, তাহলে তোমার সাথেই ঘুরব। লোকটি তাতে রাজী হয় গেল। এবং মোটামুটি একটা ঠিকঠাক ভাড়ায় আমাদের থিম্ফু এবং পড়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে রাজি হয়ে গেল। অতঃপর আমরা মালপত্র নিয়ে সেই কালো রঙের বোলেরোতে চেপে বসলাম।

তাহলে, বৃহস্পতিবার আমরা থিম্ফু পৌঁছে যাচ্ছি; রাস্তার হালি হাকিকত তখনই জানতে পারবেন… আর একটা কথা, এই UNO, এই মাফলার এবং অর্কর নতুন ট্রেকিং শু, এগুলোকে কিন্তু ম্যাকগাফিন ভেবে অবহেলা করবেন না… অনেক বড় ভূমিকা আছে এদের…
শান্তির আশায়…
নীল…