ত্রিশঙ্কু

এক ছেলেটা রাত দুটোর সময় হাতের কাজটা শেষ করে বিছানায় পৌঁছায়। বিছানার এক কোণে তার স্ত্রী গভীর ঘুমের দেশে। মাথাটা বুকের কাছে নিয়ে গিয়ে, তার হৃৎস্পন্দন শোনে ছেলেটা; মনে হয় সিস্টোল আর ডায়াস্টোল একই ছন্দে চলছে দু’জনের, যেরকম ভাবে একসাথে চলার পথটাও মিশে গেছে। তার আলিঙ্গন ঘুমের ঘোরে বুঝতে পারে না মেয়েটি, সে অকাতরে ঘুমোচ্ছে। …

Continue reading ত্রিশঙ্কু

ব্যোমকেশ-ification !

যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরা জানেন আমার শরদিন্দু, এবং ব্যোমকেশ নিয়ে ঠিক কিরকম emotion জড়িয়ে আছে; মানে সেটা নিজের শর্ট-ফিল্ম-এ ব্যোমকেশ-এর ক্যামেও থেকে পরে আবার ব্যোমকেশের চরিত্র নিয়ে কাজ করা, সে সবই জানা আছে, আমার পরিচিতদের, নাহলে Wikipedia-তে “Byomkesh Bakshi in Other Media” একবার search করে দেখুন, বুঝে যাবেন কি বলতে চাইছি; যাই হোক, যে কোনও …

Continue reading ব্যোমকেশ-ification !

অর্থহীন

‘A poem begins as a lump in the throat, a sense of wrong, a homesickness, a lovesickness.’Robert Frost সব লেখা যে লেখার দরকার আছে, এরকম মাথার দিব্যি কেউ দেয়না, এমনকি সত্যি করে কোনও লেখা লেখার জন্যই কেউ কাউকে… যাক গে সে কথা… সব লেখাই সাহিত্য হয় না, অর্থহীন লেখাকে আমরা ইংরেজিতে আদর করে নাম দিয়েছি …

Continue reading অর্থহীন

Yet another prose of melancholy

It was a gloomy winter evening… I mean, winter evenings are supposed to be gloomy, but this particular one was ‘gloomier’ to say the least. I sat in my room, watching my life slip through my finger like sand, the more I try to grab and get ahold of it, the more it slips away. …

Continue reading Yet another prose of melancholy

আসলে হয়েছে কি…

রেজিতে একটা কথা আছে, ‘generic’ মানে মার্কাহীন, বুৎপত্তিহীন এক ধরনের বস্তু। এখন আপামর বাঙালি জাতি, আমাদের সেরা অজুহাত গুলো শুরু করি ঠিক এভাবেই; ‘আসলে হয়েছে কি’… আর তারপরেই শুরু হয় গল্প বানানো, একটার পর একটা জেনেরিক ঘটনাকে নিজের জীবনের ধ্রুবসত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা। এটাই আমরা করে আসি, এবং করে এসেছি। আর আইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘generic’ মানে মার্কাহীন, বুৎপত্তিহীন এক ধরনের বস্তু। এখন আপামর বাঙালি জাতি, আমাদের সেরা অজুহাত গুলো শুরু করি ঠিক এভাবেই; ‘আসলে হয়েছে কি’… আর তারপরেই শুরু হয় গল্প বানানো, একটার পর একটা জেনেরিক ঘটনাকে নিজের জীবনের ধ্রুবসত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা। এটাই আমরা করে আসি, এবং করে এসেছি। আর আজ প্রায় …

Continue reading আসলে হয়েছে কি…

Return to Roots?

In the last lockdown, the viewership of my blog boomed, but since September, I was unable to keep up with my writing schedule, and hence Libberish became the barren land of age-old posts and a few out-of-place rants here and there; but it’s about damn time, I take things slowly, and try to uphold all …

Continue reading Return to Roots?

লিখব না…

এ প্রশ্নটা অনেকের মনেই থাকতে পারে, মানে নভেম্বরের পর থেকেই তো লিবারিশের পাতা শুন্যি, তাই আমি লেখা ছেড়ে দিলাম কিনা, এ নিয়ে অনেকে সন্দেহ করছেন, আর অনেকের হয়ত সেটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে। যাকগে যাক, ক্ষমা চাওয়ার কোনও মানে হয় না, কিন্তু কিছু কৈফিয়ত তো দিতে হয় বটেই, কারণ অফিস নামক যাঁতাকলটির সাথে আমার পরিচয় …

Continue reading লিখব না…

নাম

হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরেঅনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতেসেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;জীবনানন্দ দাশ হাজার বছর? আসলে, সত্যি কথা বলতে হাজার হাজার বছর… মানুষের মধ্যে বাস আমার সেই সৃষ্টির আদিকাল থেকেই। যখন মানুষ সবে সবে গুহায় ঘর বাঁধতে শিখেছে; জ্বালাতে শিখেছে …

Continue reading নাম

চতুষ্কোণ

চতুষ্কোণ ||১|| বাড়িটা প্রকান্ড… মানে এরকম বাড়ির জন্যই বোধহয় ‘অট্টালিকা’ কথাটার উদ্ভাবণ হয়েছে বাংলা অভিধানে। বাড়ি সদর দরজাটাকে ‘ফটক’ না বললে সেটাকে রীতিমত অপমান করা হয়। গোটা বাড়িতে সেন্ট্রাল এসির ঠান্ডা হাওয়া বইছে… ছেলেটা ঘরে ঢুকতে ঢুকতে ভাবছিল, পয়সা থাকলে লোকে কিভাবে খরচ করে… হ্যাঁ, সে নিজে মোটামুটি স্বচ্ছল ঘরের ছেলে হলেও, এত বিলাস দেখেনি …

Continue reading চতুষ্কোণ

Wanderlust : Land of the Thunder Dragon – Part 12

দ্বাদশ পর্ব : নটে গাছটি মুড়োলো… কি ভাবছেন ? ভাবছেন, “সে কি মশাই ! শুধু ক্যামেরা হারালো? এ কেমন ভ্রমণ কাহিনী, যেখানে অবৈধ প্রেম নেই, ভূত নেই, মায় একটা ছোটখাটো ‘কাহানি মে ট্যুইস্ট’ অবধি নেই ?” নেই… সত্যিই নেই… কিন্তু গল্পটা আছে, স্মৃতিগুলো এখনো তাজা আছে, আর তাই এত ঘটা করে এত লেখা, এত আয়োজন। …

Continue reading Wanderlust : Land of the Thunder Dragon – Part 12