নাম

হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,

সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে

অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

জীবনানন্দ দাশ

হাজার বছর? আসলে, সত্যি কথা বলতে হাজার হাজার বছর… মানুষের মধ্যে বাস আমার সেই সৃষ্টির আদিকাল থেকেই। যখন মানুষ সবে সবে গুহায় ঘর বাঁধতে শিখেছে; জ্বালাতে শিখেছে আগুন,  আমার নির্বাসন তবে থেকেই। এখন কেন এই নির্বাসন, আসলে কে আমি, সে উত্তরে পরে আসছি। তবে আমার শাস্তি ছিল ওটাই, সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে অন্তিমকাল পর্য্যন্ত মানুষের মাঝখানে ঘুরে বেড়ানোর।

তাই করেছি আমি; সুযোগ ছিল, আর সময় ছিল অফুরন্ত। তাই মানবসভ্যতার প্রতিটি বিশেষ ঘটনার সাক্ষী হতে ছুটে গেছি আমি। গোটা পৃথিবীই ছিল আমার অবাধ বিচরনক্ষেত্র। আর আমার চলার পথে ফেলে রেখে গেছি অগুনতি মৃতদেহ।

না না, আবার ভাববেন না যেন মানুষের মাঝে হিংসার জন্য আমিই দায়ী। অনেকটা ওই ‘এরিস’-এর মত। আসলে ওইরকম যুদ্ধবাজ ভগবান মানুষ তৈরী করেছে, নিজের মনকে শান্তি দেওয়ার জন্য। বিশ্বাস করুন, মানুষের দূঃখ, দূর্দশা, দূর্গতি… মানে ‘দূ’ দিয়ে যত শব্দ আছে, তার সবেরই কারণ হল মানুষ নিজে।

আমার ব্যাপারটা অন্য… আমি প্রাণ নিতে ভালোবাসি। একটা জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবলেই আমার গায়ে (মানে আমার সত্ত্বায়; গা বা দেহ আমার আছে কিনা, সেটা তর্কের বিষয়।) কাঁটা দেয়। হ্যাঁ, মানুষকে যেমন হিংসার পথ অবলম্বন করতে আমি বাধ্য করি না; তেমনই তার সব হিংসাতক কাজে ইন্ধন জোগাতে আমি ভালোই পারি, এবং সেটা করেও থাকি। আর তাই করেও এসেছি।

যখন মানুষকে নিয়ান্ডার্থাল বা ক্রো-ম্যাগনান নাম দেওয়া হয়েছিল, তখন জীবন অনেক সহজ ছিল। খাদ্য-বাসস্থানের চিন্তাতেই দিন কেটে যেত। কেউকেটা হয়ে ওঠার কথা ভাবত না সেই আদিম মানুষ। শিকার কর, খাবার খাও, বংশবিস্তার কর, কাউকে পচ্ছন্দ না হলে তাকে মেরে ফেল।

খুব সহজ ছিল জীবন। খাবারের ভাগ বেশী চাই? কাউকে মেরে তার ভাগটা কেড়ে নাও। বংশবিস্তার করার সঙ্গিনী নেই? বাহুবলে তুলে এনে ধর্ষণ কর, না মানলে খুন কর…

ধর্ষণ… ভাবতে অবাক লাগে, মানুষ এত এত বছর পরেও কিরকম তার জৈবিক চাহিদার থেকে আর কিছুকে গুরুত্ব দিতে শিখল না। কতদিন ধরে যে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী ধর্ষণ ব্যাপারটাকে সাধারণ, সহজাত বলে ভেবে এসেছে; এমনকি কয়েক জায়গায় এখনো ভাবে…

জঙ্গলে জন্তু শিকার আর ধর্ষণে নারী শিকার, ‘পৌরুষ’ প্রদর্শনের এই রীতি যে কতদিন চলেছে বা এখনো চলছে সে কথা…

যাক গে… ওসব থাক। দার্শনিক হতে তো এত হাবিজাবি লিখতে বসিনি, যে কথা বলছিলাম। তখন তুমি প্রকাশ্যে গন্ডায় গন্ডায় খুন করলেও, কারোর চোখ টাটাত না। ওই যে বললাম, ‘সহজাত’। তাই আমার একমাত্র চাহিদায় কোনও সমস্যা হত না। বিস্তর মানুষ মেরে বুক ফুলিয়ে ঘুরতাম। মাঝে মাঝে মনে হত; নির্বাসনে এসেছি, শক্তিক্ষয় তো আর হয়নি আমার; চাইলে পৃথিবীর প্রতিটা প্রাণীকে এক রাতের মধ্যেই…

কিন্ত লাভ কি তাতে? সৃষ্টির শেষ হলেই শুরু হবে। কিন্তু আমার নির্বাসনের শুধু শুরুই আছে, শেষ নেই কোনও…

তাই অপেক্ষা করেছি। আর কি বলুন তো? প্রচন্ড ক্ষিদে পেলেও তাড়িয়ে তাড়িয়ে, উপভোগ করে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে। তাই সুযোগের অপেক্ষা করেছি, অপেক্ষা করেছি সঠিক সময়ের।

সময়ের গতি সবসময় সমান থাকে না। সভ্যতার আদিম যুগে মন্দগতি নদীর মত বইতে থাকা সময়ের গতি খরস্রোতের দিকে এগোলো এক একটা সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে। আর সেই সুযোগ ছাড়িনি; সব জায়গায় একবার একবার করে ঘুরে এসেছি অন্তত। জানেন, আজ ভাবতে কেমন লাগে, এই হাত দিয়ে কিউনিফর্ম লিখেছি, হায়ারোগ্লিফ এঁকেছি, আবার সিন্ধু লিপিতেও পাকিয়েছি।

‘সভ্যতা’।

জানেন, ছোটবেলা থেকেই, এই কথাটা আমরা বার বার বইতে পড়াই বাচ্চাদের। বারবার। অনেক বার… অমুক সভ্যতা, তমুক সভ্যতা, অমুক সাম্রাজ্য, তমুক সাম্রাজ্য…

তা এই রাজা-রাজরাদের রমরমা হওয়ার পর থেকে বুঝলাম, এবার মানুষ মারলে রাষ্ট্রীয় সম্মানও কপালে জুটবে। তাই করেছি। তবে বেশী ওপরে কখনো উঠিনি। কারণ মানুষ এমনই জীব, তার কাছে বেশী বড় সাজতে গেলেই মুশকিল, তাই সাধারণ সৈনিক থেকে একটু একটু করে উচ্চপদস্থ সেনানায়ক হয়ে যখন দেখতাম এবার বড্ড বেশীই গুরুত্ব পেতে শুরু করেছি, তখন সে স্থান ত্যাগ করতে দু’বার ভাবতাম না।

কত কি দেখেছি, জানেন? অ্যান্টনি আর ক্লিওপেট্রার ফষ্টিনষ্টি, তারপর ধরুন ক্লডিয়াস, মানে ক্লডিয়াস সীজার নীরো-এর গোটা রোম-এ আগুন লাগিয়ে দেওয়া। তবে, সত্যি বলতে কি, ও বুদ্ধিটা আমারই ছিল। নিজের কানে জুলিয়াসকে পোক্ত লাতিনে বলতে শুনেছি,

-‘et tu, brutus ?’

কি ভাবছেন? আরে মশাই, একবারও মাথায় আসেনি, যে ওই ছোকরা, মানে শেকসপীয়ার, সে হঠাৎ জুলিয়াস, অ্যান্টনি আর ক্লিওপেট্রার কেচ্ছা নিয়ে লিখতে গেল কেন? কেউ তো তার মাথায় ঢুকিয়েছে?

কি ভাবছেন বলুন তো? ও ভাবছেন বুঝি গাঁজায় দম মেরে ‘লিওনার্দো দ্য বিরিঞ্চি’ সেজে ঢপ মারছি। সে আপনি ভাবতেই পারেন…

আসলে, ভয়, মিথ্যা, সন্দেহ… এসবকে হাড়ে হাড়ে চিনি আমি, বলতে পারেন, এসবের জন্মই হয়েছে আমার সামনে।

নীরোর কথায় মাথায় এল, ন্যাজারথ-এর জেশুয়া… বাংলায় বললে যীশুখৃস্ট, আর ইংরেজীতে বললে, ‘Jesus Christ’…

দেখা হয়েছিল… সে আমাকে চিনতেও পেরেছিল। তার পরিনতি আমিও জানতাম। শুধু জানতাম না, ক্রুশের শেষ পেরেকটা ঠোকা অবধি দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম। সত্যি বলছি, ওরকম মৃত্যু, ওইভাবে একজনের প্রাণ নেওয়া, আমিও কল্পনা করতে পারতাম না। আমার সহ্যও হল না, তাই তিনদিনের মাথায় তার আত্মাকে মুক্তি দিলাম। আর যীশুর ন্যাওটা পল, সেটা নিয়ে ‘ভগবানের লীলা’ থেকে শুরু করে কি না কি লিখে পাতার পর পাতা ভরিয়ে ফেলল…

আমার ওসব গায়ে লাগে না, আমি আড়ালে থাকতেই ভালবাসি। আমি গোপনে থেকে আমার কাজ করে যাই, তাহলেই হবে। তবে, যীশুর থেকে, পলও জানতে পেড়েছিল আমার কথা, আর জানতে পেরে কি করেছিল, সে কথায় আসছি।

তবে, যেটার পোশাকি নাম মধ্যযুগ, সেটা নিজের চোখে দেখে আমারও হাসি পেয়েছিল। মানুষ নাকি ভগবানের সন্তান, আর সেই মানুষের নিষ্ঠুরতা দিন দিন আমাকে অবাক করেছে। নীরোর আমল থেকে, রোমান সাম্রাজ্যে অত্যাচারিত খৃশ্চানরা ‘ইনক্যুইজিশন’-এর নামে অকথ্য অত্যাচার করেছে দেশে দেশে সব ধর্মের মানুষের ওপর। সব দেখেছি, আর মিথ্যে বলব না, ইনক্যুইজিশনে আমিও অংশগ্রহন করেছি। ভগবানের নামে, শত সহস্র নিরীহ লোকের মৃত্যু দেখেছি, মৃত্যুর কারণও হয়েছি।

আসলে, আমি খুব অবাক হয়ে গেছিলাম এতদিনে। কারণ মানুষের মাঝে সময়ের আদি থেকে অন্ত অবধি ঘুরে বেড়ানো আমার ‘শাস্তি’ হওয়ার কথা ছিল, সেই আমি, মাঝে মাঝে সত্যিই অবাক হয়ে যেতাম, মানুষ সত্যিই ইশ্বরের সন্তান তো? যা নিষ্ঠুরতার নিদর্শন আমি এখনো অবধি দেখেছি, তাতে সন্দেহ হত; সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ঈশ্বরের প্রতিভূ কি এরা সত্যিই ? নাকি এরা আমারই ভাই বেরাদর?

ইশ্বর প্রতিটি মানুষকে সমান সমান করে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু মানুষ নিজেই ঠিক করেছে একজনের চেয়ে আর একজনের প্রাণের দাম কম। কখনো গায়ের জোরে, কখনো বিশ্বাসের ভিত্তিতে, আবার কখনো চামড়ার রঙের ভিত্তিতে।

শেষ হল গ্রীক ও রোমান সভ্যতার পরাকাষ্ঠার দিন। লোকে ভুলে গেল মেসোপটেমিয়া আর হরপ্পা-মেহেরগড়ের মাথা তুলে দাঁড়ানোর দিনগুলো। তখন সভ্যতা মানেই পাশ্চাত্য, আর পাশ্চাত্য মানেই ব্রিটেন। পৌছে গেলাম ভিক্টোরিয়ান লন্ডনে। ততদিনে সমাজ নামের খাঁচায় অনেকটাই বন্ধ হয়েছে মানুষ নামের জংলী জানোয়ার। দেশে আইন-কানুনের চাবুক দিয়ে সিধে করার চেষ্টা হয়েছে তার বন্য হিংস্রতা। ততদিনে আমারও নাম হয়েছে একটু…

‘নাম…’

নাম আমার একটা ছিল, যেটা আমাকে দিয়েছিলেন আমার বাবা… নির্বাসন দেওয়ার আগে সেই নামেই…

যাক গে সে কথা। মানুষ প্রথম আমার নাম দিল, নিজের মত করে। যুক্তরাষ্ট্র হলে বোধহয় ‘জন’ দিত, কারণ অজানা ব্যক্তিদের তো ওই নামেই ডেকে থাকে ওখানে… কিন্তু ব্রিটিশরা আদর করে নয়, প্রচন্ড ত্রাসে, প্রচন্ড ভয়ে আমার নাম দিল জ্যাক…

‘জ্যাক দ্য রিপার’

নামটা শুনে হাসি পেত খুব। তার চেয়ে বেশি হাসি পেত এই ভেবে, যে মানুষ এই দু’দিন আগে লক্ষ্য লক্ষ্য ক্রীতদাস প্রাণ হারালে বা হাজার হাজার দাসী ধর্ষণ এবং খুন হলে ভেবে দেখারও সময় পেত না, সে মানুষ আজ ক’টা বারবণিতার শোকে…

আসলে সেটা না, ব্যাপারটা হল ভয়। যে জন্তুটা এতদিন জঙ্গলে নির্দ্বিধায় আস্ফালন করে ঘুরে বেড়াতো, তাকে সমাজের খাঁচা আর সংসারের জাঁতাকল তাকে দিনে দিনে ভীতু, জড়ভরত করে তুলেছে।

তবে নামটা আমার বেশ পচ্ছন্দ হয়েছিল। তা আমার হাত ধরেই পৃথিবী জানল বা শিখল একটা নতুন শব্দ; ‘সিরিয়াল কিলার’…

কি? কি ভাবছেন? ভাবছেন আবার একটা আষাঢ়ে গপ্পো ফেঁদে রসিকতা করছি? আরে না মশাই না।

নিজের অজান্তেই এরকম গবেষণার বিষয় হয়ে যাব ভাবতেই পারিনি। তাই জ্যাক হয়েই থেমে থাকিনি… আমিই যুগে যুগে হয়েছি শিকাগো স্ট্র্যাংলার, জোডিয়াক, আমিই ডেইটোনা বিচ কিলার… আর আমিই বোম্বে আর কোলকাতার স্টোনম্যান…

আরে মশাই হাসবেন না অত, কোলকাতায় বহুবছর কাটিয়েছি… বাংলা ভাষাটাও ওখানেই শেখা আমার।

নাম অনেক পেয়েছি আমি, বার বার, যুগে যুগে… খবরের কাগজে বড় বড় অক্ষরে নাম ছাপা হয়েছে আমার, মানে আমার পাওয়া নাম। কিন্তু প্রশ্নটা হল, আমি আসলে কে? কি আমার আসল নাম?

তাহলে বলি শুনুন। ভগবান, মানে নিউ টেস্টামেন্ট যাঁকে হোলি স্পিরিট নামে অভিহিত করেছে, সেই ভগবানের প্রথম সন্তান, লুসিফার… যাঁর স্বর্গ থেকে পতনের কাহিনী সবার মুখে মুখে ফেরে, যাঁর কথায় যেকোনো নিষ্ঠাবান খ্রীশ্চান বুকে ক্রুশ আঁকে, সেই লুসিফারকে নরকের দখল নিতে হয়েছিল রীতিমত যুদ্ধ করে। কার সাথে? ‘প্লুটো’… যাঁকে লুসিফার-এরও বহুদিন আগে নরকে নির্বাসন দিয়েছিলেন ভগবান।

আমি সেই লুসিফারের প্রথম সন্তান। বাবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে নরক দখল করেছিলাম। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বাবা আমার শক্তির আন্দাজ পেলেন, আর নরকের অধিপতি হিসাবে নিজের গদীর দোহাই দিয়ে আমাকে যেতে হল নির্বাসনে।

বাবা আমার নাম দিয়েছিলেন, ‘স্যামহায়েন’…

বলেছিলাম না, পল জানত আমার কথা? তাই পল টেস্টামেন্ট-এ লিখেছিল বছরে একটা দিন নাকি আমি যথেচ্ছ মানুষ মেরে থাকি… দিনটার গালভরা নামও দিয়েছিল; ‘অল হ্যালোজ ইভ’…

আসলে, সাহস করে লিখতে পারেনি যে আমি যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝেই বাস করি।

কিন্তু আমি কি তাহলে? রাক্ষস? ডীমন?

আগে তাই ভাবতাম, কিন্তু এখন ভাবি না…

আমি মানুষ। অনেক শুনেছিলাম, ভগবানের প্রতিচ্ছবি মানুষের কথা, আমার বাবার প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে অধঃপাতে যাওয়া মানুষের কথা, কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী, এদের মাঝে বাস করে একটা জিনিস আমি পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি।

ভগবানের আশীর্ব্বাদে মানুষ উদ্ধার হয় না, আর শয়তানের অঙ্গুলিহেলনেও পাপ করে না, এসব তার মজ্জাগত। ঠিক আমার মত…

কর্ম, কর্মফল… এসব বড্ড খেলো কথা। অর্থহীন, ওজনহীন। মানুষ নিজেই তার কর্ম এবং কর্মফলের দাবীদার, এখানে আর কারোর হাত নেই। নরকের কড়াইতে সেদ্ধ হতে বা স্বর্গের বাগানে হাওয়া খেতে কেউই যায় না মৃত্যুর পরে, ওসব দান্তের কল্পনামাত্র।

কেউ হয়তো প্রশ্ন তুলতেই পারেন, যে আমি আমার চোখ দিয়ে মানুষকে দেখছি, যে চোখ হিংসা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারে না বা জানে না; কিন্তু কি বলুন তো? আমার দেখার সময়টা বিপুল, আমার দেখার পরিধিটা বিরাট, তাই তার সাথে যে কোনো সাধারণ মানুষের দেখার ব্যপ্তির তুলনা করা নেহাতই বাতুলতা…

তাই, আমি আছি, আমি থাকব… মানুষের মাঝে, মানুষের মত হয়ে… অনেক নামে… অনেক পরিচয়ে…      

সবাইকে জানাই হ্যালোউইনের শুভেচ্ছা, আর আশাকরি, ওপরের লেখাটিকে নিছক লেখকের ছেলেমানুষী বলেই সবাই ধরে নেবেন; আসলে কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য এই লেখা আমি লিখিনি, সেটা বলাই বাহুল্য।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন…

শান্তির আশায়,

নীল…                      

Advertisement

One thought on “নাম

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.