স্তুপ – চতুর্থ পর্ব

সাত – দীর্ঘজীবি হোক !!!

পরেশ খিড়কীর দরজা দিয়ে বেরোতেই, তার মুখে প্রচন্ড জোরে এসে লাগল একটা আঁধলা ইট। নাকটা থেঁতলে গেল নিমেষে, সামনের দুটো দাঁতও ভাঙল। মুখে হাত চাপা দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ল সে।

-“তুই আজ থেকে না, সার্ভিস রিভলভারের বদলে কোমরে এক বস্তা ইঁট নিয়েই ঘুরিস… শালা… কি টিপ মাইরি !!!”

কথাগুলো বলতে বলতে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে ডি সি পি রণদীপ গুহ নিয়োগী এবং এ সি পি হরিশ মহাপাত্র। ইঁটটা সেই ছুঁড়েছে। বাড়ির ভেতর থেকে একটা হইচই এর শব্দ শোনা গেল। হরিশকে ইশারা করতে, পরেশকে টানতে টানতে সে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। রণদীপ হাঁটতে হাঁটতে বাড়িটার সদর দরজার দিকে এগিয়ে গেল। কয়েকজন কনস্টেবল আর সাব ইন্সপেক্টর মিলে বাড়ির বাকি সবাইকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে বের করে আনছে।  সবমিলিয়ে বাড়িতে ছিল দশ জন। আর যে ছেলেটা এই ডেরার হদিস দিয়েছে, সে তো রণর জীপে বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে। মোট এগারো জন। এদের মধ্যে একজনকে একঝলক দেখেই চিনতে পারল রণ, শচীন তালুকদার। নক্সালদের প্রথম সারির নেতা।

-“অ্যাই হরিশ !!!”

হরিশ পেছন থেকে সাড়া দেয়…

-“একটা টেলিফোনের খুঁটি দেখে যন্তরটা লাগা, ভাই… রিপোর্ট তো করতে হবে…”

টেলিফোনের খুঁটি খুঁজে পেতে, আর তাতে টেলিফোনটা লাগাতে বেশী বেগ পেতে হল না। নির্দিষ্ট নম্বরে ডায়াল করে উল্টোদিকে উত্তর আসতেই, রণ কথা বলতে শুরু করল…

-“স্যার, আমি রণ বলছি…”

-“…………………………”

-“গ্যাংটাকে ধরেছি, স্যার। টোট্যাল এগারো জন।”

-“…………………………”

-“না স্যার, পালাতে কেউ পারেনি।”

-“…………………………”

-“আমি তো আপনাকেই সেটা জানতে ফোন করলাম; রমেন তো বলল ওর বাড়িতে এক সাথে এত লোক নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।“

-“…………………………”

-“আচ্ছা, স্যার…”

-“…………………………”

-“আচ্ছা, স্যার…”

-“…………………………”

-“চিন্তা করবেন না স্যার, আপনি শুধু দেখে নেবেন, সময়মত খবরের লোকজন যাতে পৌছে যায়…”

-“…………………………”

-“আচ্ছা, স্যার… গুড নাইট।”

হরিশ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। সে বলে উঠল, কি অর্ডার, স্যার ?

-“কি আবার অর্ডার ? বুঝে নে। এগারোটা ছেলেকে অ্যারেস্ট করে  জেলে ভরে লপ্সি গিলিয়ে মামলা করার হ্যাপা কেউ নেবে নাকি।”

-“তাহলে ? সবকটাকে ঝেড়ে দিতে হবে ?”

-“হ্যাঁ, কিন্তু আমাদের জুরিসডিক্সনে নয়। রমেনের শালার একটা বড় জমি কেনা আছে, বারাসাতের কাছে; সেখানেই…”

-“এখন বারাসাত যেতে হবে ?”

-“ওটাই তো শালা হ্যাপা… রমেন নাকি ফোন করে বলেছে…  চেয়ারটায় বসে আছে বলে শালা খিস্তি মারতে পারি না। বাপের চাকর ভেবে রেখেছে যেন বাঞ্চোদ… তুললি সবকটাকে গাড়িতে ?”

হরিশ সম্মতি দেয়।

-“তুই ওঠ আমার জিপে। চল বেরোই…”

যশোর রোডে ওঠার পর অ্যাক্সিলেটরের চাপ বাড়াতে থাকে রণ। যত তাড়াতাড়ি কাজটা মিটে যায়, তত ভালো। ঠিকানা আর বর্ণণা মিলিয়ে যখন জায়গাটায় এসে পৌছোয়, তখন বাজে রাত দেড়টা। শুনশান চারদিকের রাস্তা। কেউ কোত্থাও নেই। ছেলেগুলোকে মাঠে নামানো হয় এক এক করে। সবার হাত আর পা বাঁধা। সবাইকে মাঠে বসান হল, হাঁটু মুড়ে। সব বাচ্চা বাচ্চা ছেলেপুলে; ভয়ে পাতার মত কাঁপছে। একজন ছাড়া। শচীন। সে হাঁটু গেড়ে বসে আছে, গম্ভীর মুখে।  শুধু একটা ছেলের নির্বুদ্ধিতার জন্য এতজন ধরা পড়ে গেল। কিন্তু কোথায় সে ? কোথায় সমীর ? বলতে বলতেই দেখতে পেল। একটা নগ্ন অচৈতন্য দেহকে জীপ থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাচ্ছে রণদীপ। ও কি বেঁচে আছে ? মাঠে পড়ার পর থেকে একবারও নড়ল না সমীর। এবার তার সামনে এসে দাঁড়ায় রণ।

-“আমাকে চিনিস ?”

Photo by Jayberrytech on Pexels.com

শচীন মাথা নাড়ে।

-“ব্যস। তাহলে এবার বলে ফেল, তোদের বাকি ইউনিট কোথায় ক’টা আছে…”

শচীন চুপ।

তার চুলের মুঠিটা ধরে নাড়াতে নাড়াতে বলে রণ,

-“আরিব্বাস ! তোর মাথায় তো হেব্বি চুল ! চুলে খুশকি-উকুন হয় না ? দেখি তো…”

এই বলে অন্যহাতে কোমরের বেল্ট থেকে ছোরাটা বের করে শচীনের মাথার একগোছা চুল, গোঁড়া থেকে চামড়া সমেত কেটে নেয় সে। শচীন যন্ত্রনায় ছটফট করে ওঠে।

-“এ বাবা চামড়া সমেত কেটে নিলাম নাকি !!! সরি সরি… এই হরিশ, ফার্স্ট এইডের বক্সটা দে রে…”

হরিশ মুচকি হেসে তার জীপ থেকে একটা বাক্স এনে রণর পাশে রাখে, বলাবাহুল্য, সেটা ফার্স্ট এইড বক্স নয়; রণর জেরার করার নানা সামগ্রী তাতে।

-“দাঁড়া, ওষুধ দিয়ে দিই…”

এই বলে মাথার কাটাটায় বেশ কিছুটা নুন ছড়িয়ে দেয় রণ। শচীন আবার আর্তনাদ করে ওঠে। রণ খিলখিল করে হেসে ওঠে পেটে হাত দিয়ে। হাসতে হাসতেই সে হাঁটু গেড়ে শচীনের সামনে বসে পড়ে।

-“আসলে ব্যাপার কি বলত, ওপর থেকে অর্ডার, তোদের মেরে এখানেই ফেলে যেতে হবে। আমি মারতে চাই না, মাইরি বলছি… আমার কাজ পেট থেকে কথা বের করা। কিন্তু ওপরওয়ালার অর্ডার; কি করব। তা মেরেই যখন ফেলব, একটু মজাই করে নিই… কি বলিস…”

এই বলে তার বাক্স থেকে একটা সাঁড়াশির মত জিনিস বের করার জন্য হাত বাড়ায় রণদীপ।

আট – মহেঞ্জোদড়ো…

আজ ওরা চারজন ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দিচ্ছে। দালাল লোকটি নেহাত মন্দ নয়, বাড়িওয়ালার সাথে কথাবার্তা বলে ডিপোসিটের একটা বড় অংশই তাদের ফেরত করে দিয়েছে। অন্বয় চেয়েছিল বাড়িওয়ালার সাথে একবার কথা বলতে, কিন্তু তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

যেদিন রাতে ওরা চারজনে একসাথে ঘুমিয়েছিল, মাঝরাতে ওদের একসাথে ঘুম ভেঙে যায়। দুঃস্বপ্ন দেখে। প্রত্যেকেই দেখেছে এক দুঃস্বপ্ন। কোনো পুলিসের পোশাক পড়া লোক সাঁড়াশি দিয়ে ওদের হাতের নখ টেনে ওপড়াচ্ছে। পরের দিন তন্দ্রা আর অজেয়া জিনিসপত্র গুছিয়ে বেড়িয়ে যায়। বলে যায় নতুন ফ্ল্যাট না পাওয়া পর্যন্ত অজেয়ার মাসির বাড়ি থেকেই যাতায়াত করবে দু’জনে। ফ্ল্যাটে থেকে যায় প্রবাল আর অন্বয়। পরদিন অফিসেও ডুব মারে দু’জনে। দিনের গার্ডের কাছ থেকে অনেক কষ্টে ছাদের চাবি জোগাড় করে ছাদে ওঠে। গোটা ছাদে পড়ে রাশি রাশি চুল, মাছের কাঁটা, মাংসের হাড়,  হাত-পায়ের নখ… আর লোহার ফাঁপা প্রচুর পাইপ।

-“ভাই, এই পাইপগুলো গড়ালে কি পায়ের শব্দের কথা মনে হতে পারে ?”

-“তোর শুধু পাইপগুলোই চোখে পড়ছে ? রাশি রাশি চুল, নখগুলো দেখতে পারছিস না ? তুই এখনো মনে করিস, এই ফ্ল্যাটে আসা অবধি যা যা ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তুই যুক্তি বা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে পারবি ?”

এর কোনো উত্তর দিতে পারে না অন্বয়।

আর একটা ফ্ল্যাট খুঁজে পেতে আরও দু’চারদিন সময় লাগে ওদের। সেই কদিন দু’জনে অনেক অজানা আতঙ্কের সংশয় নিয়ে দিন কাটায়। এক সপ্তাহে যেন একটা চাপা অস্বস্তির আবহাওয়া তাদের জীবনগুলোকে পাল্টে ফেলেছে। অফিসেও সারাদিন মনে হয় আতঙ্কের একটা কালো মেঘ যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে, নিঃশব্দে।

নতুন ফ্ল্যাটটা চারজনে দেখে আসে। এত আলো হাওয়া নেই, আকারেও একটু ছোট, ভাড়াটাও হয়তো একটু বেশী, কিন্তু তবু আর একদিনও ওই ফ্ল্যাটে নয়।   

আবার একটা শনিবার, আবার জিনিস গোছানোর পালা। রাতে জিনিস গোছাতে গোছাতে অন্বয় আর প্রবাল আবার শুনতে পায় ছাদে পায়ের শব্দ। একটা রাত… শুধু একটা রাত কাটানো গেলেই এর থেকে মুক্তি। এই ভেবেই দু’জনে মুখ বুজে কাজ করে যায়। গোছানো শেষ করে আর ঘুমাতে ইচ্ছে করে না। ডাঁই করা লাগেজে হেলান নিয়ে সিগারেট টানতে টানতেই রাতটা কাটিয়ে দেয় দু’জনে।

কলিংবেলের শব্দে দরজা খোলে অন্বয়। তন্দ্রিকা আর অজেয়া দাঁড়িয়ে। অনেকদিন পর দু’জনের মুখে হাসি দেখে অন্বয়ের মুখেও হাসি ফোটে। সবাই হাত লাগিয়ে জিনিসপত্র ফ্ল্যাট থেকে বের করে দরজাটা বন্ধ করতে যাবে অন্বয়, এমন সময় হঠাৎ সে থেমে যায়। আবার ঢুকে পড়ে ফ্ল্যাটের ভেতরে।

-“কি হল ?” পেছন পেছন ঢুকে পড়ে প্রবাল।

-“একটা জিনিস দেখ। ফ্ল্যাটের ডানদিকে কিচেন আর একটা বেডরুম,কিন্তু অন্য ধারে শুধু একটা বেডরুম। তাহলে দুটো ঘরের সাইজ এক হয় কিভাবে ?”

-“এক কোথায় ? এ দিকে বাথরুম রয়েছে যে ?”

-“বাথরুম তো ওই দিকে, মানে অ্যাটাচড টা। ভালো করে খেয়াল কর, আমাদের ফ্ল্যাটে একটা বড় সড় ডেড স্পেশ রয়েছে…”

-“এখন এসব নিয়ে ভেবে কোনো লাভ আছে কি ?”

এ কথার উত্তর না দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় অন্বয়। ফ্ল্যাটের বাইরেটা দেখে আবার ভেতরে ঢুকে বলে,

-“না, এ ফ্ল্যাটে তো কোনো গারবেজ শ্যাফটও নেই, তাহলে ডেড স্পেশ কিসের ?”

এবার অজেয় বলে ওঠে,

-“ছাড় না ভাই… উই আর লিভিং… এখন এসব নিয়ে…”

-“তোরা লিফট-এ নাম, আইল টেক দ্যা স্টেয়ার্স…”

অন্বয়ের এই আচরণে একটু বিরক্ত হয়েই জিনিসপত্র নিয়ে লিফটের দিকে এগোতে শুরু করে তিনজনে। জিনিসপত্র নিয়ে নিচের তলায় নামার পর দেখে, অন্বয় দাঁড়িয়ে।

-“শুধু আমাদের ফ্ল্যাটে নয়, প্রতিটা ফ্লোরের কর্ণারের ফ্ল্যাটেই ডেড স্পেশ আছে…”

-“তুই কি প্রত্যেকটা ফ্ল্যাটে ঢুকে ঢুকে দেখলি নাকি ?”

-“না… কিন্তু বল তো, গ্রাউন্ড ফ্লোরে তো কোনো ফ্ল্যাট নেই, তাহলে এই দরজাটা কিসের ?”

এই বলে সে একটা হলুদ রঙের মলিন তালা দেওয়া দরজার দিকে দেখায়। এবার প্রবালও অবাক হয়ে যায়। সত্যিই তো! সে তো আগে এটা খেয়াল করেনি ! এটা তো কোনো ফ্ল্যাট নয়, তাহলে ?

-“সিকিওরিটিকে ডাক। এক্ষুণি…”

প্রবাল সিকিওরিটিকে পাকড়ে আনে।

-“এই দরজার চাবি দাও…”

সিকিওরিটি গার্ড চমকে ওঠে…

-“জ্বি, উঁয়াহা জানা শখত মনা হ্যায়…”

অন্বয় নাছোড়বান্দা, কিন্তু সিকিওরিটি গার্ডও দমবার পাত্র নয়… শেষে সে একপ্যাকেট গোল্ডফ্লেক ঘুষ নিয়ে দরজাটা খুলতে রাজি হল। তালা খোলার পর, অনেকদিনের জমে থাকা একটা পচা, ভ্যাপসা আর রাসায়নিক মেশানো গন্ধ ওদের নাকে এল। চারজনেই নাকে হাত চাপা দিল। সিকিওরিটি তালা খুলে দিয়েই একটু দুরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। দরজাটার পেছনে অন্ধকারে কিছুই ঠাহর করা যাচ্ছিল না। অন্বয় ফোনের টর্চটা জ্বালিয়ে সামনে ধরতেই, ওদের চারজনেরই হৃদযন্ত্র যেন এক সেকেন্ডের জন্য শিউরে উঠল। দরজার ওপারে স্তুপাকৃতি হয়ে পড়ে রয়েছে অনেকগুলো নগ্ন-অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত লাশ। কারোর মাথার চুল গোঁড়া থেকে চামড়া সহ কাটা, কারোর একটা চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে ঝুলে আছে, কারোর বা কপাল থেকে বেরিয়ে একটা আধপোঁতা পেরেক। এই বীভৎস দৃশ্য দেখে অন্বয় দু-এক পা পেছিয়ে আসে। হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা আবার তুলে সামনে ধরেই আবার চমক; কোথায় কি ? দরজার পেছনে শুধু কতদিনের ময়লা, চুল, মাছের কাঁটা, হাড়গোড়… আর কিচ্ছু না… 

Photo by Mitja Juraja on Pexels.com

আর ঘুরে তাকায়নি, ওরা… সোজা বেরিয়ে এসেছিল। একঝলকের জন্য যেটা দেখেছিল, সেটা ওরা ভুলতে পারেনি সারাজীবনে। যেমন ভুলতে পারেনি আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের বারাসাতবাসী। সকালের প্রথম ফোটা আলোয় তারা দেখেছিল ডাঁই করে জঞ্জালের মত ফেলে রাখা এগারোটা লাশ খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে কাক আর শকুনে। পঞ্চাশ বছর আগে, যখন বারাসাত গ্রাম ছিল… যখন মাঠের বুকে বিরাট বড় এই কমপ্লেক্সটা গজিয়ে উঠে সব ধামাচাপা দিতে চায়নি…  

একবার গুগল করে দেখে নিন ‘১৯৭০ সালের বারাসাত হত্যাকান্ড’ বা ‘1970 Barasat Killings’ একটা ঘটনার সন্ধান পেয়ে যাবেন। দ্বিতীয় ঘটনাটাও সত্যি, মানে ভৌতিক ফ্ল্যাটবাড়ির ব্যাপারটা; শুধু সেটা কলকাতা শহরের ঘটনা নয়। এর বেশী আমি বলতে পারব না, মাফ করবেন। স্তুপ শেষ হওয়ার পর, এই শনিবার একটা নন-ফিকশনই লিখব ভাবছি। একটা বিষয় মাথায় ঘুরছে, সেটা নিয়েই লিখব। তারপর আবার হয়তো গল্পে ফিরব। দেখা যাক।

শান্তির আশায়,

নীল…

One thought on “স্তুপ – চতুর্থ পর্ব

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.