Somewhere in the Jungle of North Bengal শেষ হওয়ার পরে, বেশ দ্বন্দে পড়ে গেছিলাম। আবার গল্পই লিখব, নাকি অন্য কিছু। এখন অন্য কিছু লেখার বিষয়ে তো চারদিক ভর্তি, এবং সে নিয়ে এন্তার লিখে গেছি বহুদিন ধরে। কিন্তু সত্যি করে মৈনাকদের জঙ্গল সফরের পড়, এই ব্লগে আর গল্প ছাড়া কিছু লিখতে আপাতত ইচ্ছে করছে না। তাই আজ শুরু হল অপ ঘটনা সিরিজের তৃতীয় গল্প, ‘স্তুপ’। এটাও বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতেই লেখা, কিন্তু অবশ্যই নাম উহ্য রেখে। তবে কয়েকটি চরিত্রের নাম পরিবর্তন করলেও, মনোযোগী পাঠকদের তাদের চিনতে অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। যাই হোক; গৌরচন্দ্রিকা ঠিক গল্পের আগে মানায় না। আসুন, শুরু করা যাক।
বিধিসম্মত সতর্কীকরন : গল্পটা একেবারেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। গল্পের ভাষা অনেকের গাত্রদাহের কারণ হতে পারে, ভাষা নিয়ে ছুৎমার্গ থাকলে পড়বেন না। এ গল্প আপনার জন্য নয় তাহলে।
এক – গোড়ার কথা
-“বল, কোথায় পাবো বাকীগুলোকে ?”
-“জানিনা স্যার, সত্যি বলছি…”
একটা কঠিন, তামাকের কড়া গন্ধ মাখা হাত সপাটে আছড়ে পড়ল সমীরের গালে। কয়েক মূহুর্ত চোখে অন্ধকার দেখার পর আবার সামনের লোকটার দিকে তাকাল সে। মুখটা খোলার সময় বুঝল, বিরাশি সিক্কার ওই চড়ে তার ওপরের পাটির সামনের দাঁত গিঁথে গেছে নীচের ঠোঁটের মধ্যে। মুখটা খোলার সঙ্গে সঙ্গে একটা অস্ফুট আর্তনাদের সাথে সাথে একটা তাজা রক্তের ধারা নেমে এল নীচের ঠোঁট বেয়ে।
-“শেষবার জিজ্ঞাসা করছি… না বললে ফল কি হবে বুঝতেই পারছিস…”
হাঁটুতে ভর দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে সমীর কে… গায়ে একটুকরো কাপড় নেই, হাতদুটো পিছমোড়া করে বেঁধে রাখা, আর সেই দড়িটা পেছনের দেয়ালে আটকানো। জেরার আগের তিন ঘন্টা হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে বসে থেকে, পা দুটো প্রায় অকেজো, তার ওপর গালে চোয়ালে ব্যাথা, আর নীচের ঠোঁটটা জ্বলছে হু হু করে। তাই এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেওয়ার মত অবস্থায় নেই সমীর। কিন্তু এই নীরবতার ফল হল মারাত্মক। সামনের লোকটা একমুঠো নুন নিয়ে ছুঁড়ে মারল তার মুখে। নুনের দানা ঢুকে গেল তার চোখে, নাকে, খোলা মুখে। মনে হল ঠোঁটের কাটা জায়গাটায় কে যেন আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করে ছটফট করে ওঠে সমীর। লোকটা শক্ত হাতে তার চুলের মুঠিটা ধরে, তারপর আবার বলে ওঠে;
-“এখনো বলছি, ভালোয় ভালোয় বলে দে… ছেড়ে দেব… আমাকে রাগালে কিন্তু, তোর লাশটা কুকুরেও খাবে না এমন অবস্থা করব।”
নুনের প্রভাবে সমীরের চোখদুটো প্রায় অন্ধ, সামনে কিছু দেখতেও পাচ্ছে না। চোখের জলটা কান্না, নাকি চোখ জ্বলার প্রতিক্রিয়া, নিজেও জানে না সে। এভাবে যে ধরা পড়বে, সেটা ভাবেনি কখনো। আর ধরা পড়ার পরের অবস্থাটা যে এরকম ভয়াল হবে, সেটা আন্দাজও করতে পারনি; অন্যদের মুখে শুনেছিল, তিন সপ্তাহ আগে যখন শ্রদ্ধানন্দ পার্কের ধারে বিশুদা, মানে বিশ্বনাথের লাশ পাওয়া যায়, তার হাতের আঙুলে নাকি একটাও নখ ছিল না। গায়ে অসংখ্যা কাটার দাগ, আর শরীরের অংশের অংশের চামড়া নেই। সে লাশ চোখে দেখেনি সমীর, ভেবেছিল হয়তো সবাই বাড়িয়ে বলছে। শপথ নিয়েছিল দলের প্রতি, দলের আদর্শের প্রতি আমরণ একনিষ্ঠতা বজায় রাখার; কিন্তু ঝাপসা চোখে মৃত্যুকে দেখতে না পারলেও, তার স্বাদ এবং গন্ধ সমীরকে ভেতর থেকে একটু একটু করে ভেঙে দিচ্ছে। আমরণ কথাটা বড্ড বড় মনে হচ্ছে তার।
ছেড়ে দেবে ? বলে দিলে সত্যি করে ছেড়ে দেবে ?
সমীরের চিন্তার মায়াজাল ছিঁড়ে যায় চুলের একটা দৃঢ় ঝাঁকুনিতে…
-“কি রে হারামজাদা, বলবি ?”

কি একটা বলার চেষ্টা করে সমীর, মুখ দিয়ে মৃদু চিঁচিঁ ছাড়া আর কিছু বেড়োয় না। লোকটা অন্যহাতের বুড়ো আঙুলের নখটা বসিয়ে দেয় ঠোঁটের কাটাটার ওপর। একটা জান্তব চিৎকার করে ওঠে সমীর;
-“বলছি ! বলছি…”
লোকটা ঠোঁট থেকে নখটা সরায়, কিন্তু চুলের মুঠিটা ছাড়ে না।
-“গুড বয়… বলে ফেল…”
-“……………”
উত্তরটা শুনে মুখে একটা আওয়াজ করে লোকটা বলে ওঠে;
-“ওঠ খোকা, তোমার বন্ধুদের সাথে একটু দেখা করে আসি; সবক’টাকে হাতে পেলে তোমার ছুটি… এই হরিশ… একে খুলে দাও”
দড়ির বাঁধনটা মুক্ত হলেই, মুখ থুবড়ে মাটিতে কাটা কলাগাছের মত লুটিয়ে পড়ে সমীর। কেউ একটা তার মাজায় সজোরে লাথি কশায়…
-“ওঠ শুয়ারের বাচ্চা… শালা এই ননীর শরীর নিয়ে খানকির ছেলে নাকি বিপ্লব করবে।”
ওঠার চেষ্টা করে সমীর; কিন্তু গোটা গায়ে অসহ্য যন্ত্রণা। একটা হাত তার চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে মেঝে দিয়ে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়তে নিয়ে গিয়ে বাইরের রাস্তায় ফেলে দেয়, তারপর কেউ তাকে একটা জীপের পেছনে তোলে। তারপরই তার গলা চেপে ধরে একটা ভারী বুট।
-”শোন বাঞ্চোদ, যদি ঠিকানা ভুল বেরোয়, জ্যান্ত পুঁতে দেব, শালা… দেখব তোর বাপ চারু কি করে তোকে বাঁচায়।”
কর্কশ শব্দ তুলে জীপটা রওনা দেয়। জীপের পাদানিতে পড়ে থাকা উলঙ্গ একটা শরীর প্রচন্ড ব্যাথায় ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাতে থাকে। পঞ্চ-ইন্দ্রীয় তার কাজে অব্যাহতি চাইছে। সে কি ঠিক করল ? কিছু ভাবারও যেন শক্তি পাচ্ছে না সমীর। সামনে আবছায়ার মত মায়ের মুখটা ভেসে উঠছে বার বার। শেষ কবে বাড়ি ফিরেছিল, মনে পরছে না তার। মায়ের হাতের রান্না… কলেজ থেকে ফিরে একটু কোলে মাথা রেখে শোয়া… বা একটু বৌদির সঙ্গে খুনসুটি… এগুলো যেন বড্ড অলীক স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে আজ। ছেড়ে দেবে তো ? নাকি তার অবস্থাও বিশ্বনাথের মত হবে? এবার কান্না পায় সমীরের আর মুখ থেকে একটা হালকা গোঙানির মত শব্দ বেড়িয়ে আসে। আর সেই অপরাধেই, চোয়ালে এসে জমা বুটের লাথিটা তার চেতনার ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা প্রদীপটাকে নিভিয়ে দেয়।
দুই – বাসস্থান
অন্বয় ফ্ল্যাটের দরজাটা খুলে ভেতরে পা রাখে। সদ্য রং করা ফ্ল্যাটের দেওয়াল থেকে একটা রাসায়নিক গন্ধ তার নাকে ধাক্কা মারে আর বড় বড় জানলা থেকে আসা আলো কয়েক সেকেন্ডের জন্য ধাঁধিয়ে দেয় চোখ। তারপরই ফ্ল্যাটের চেহারাটা নজরে পড়ে তার। দরজা দিয়ে ঢুকলেই একটা প্রশস্ত ড্রয়িং/ডাইনিং স্পেশ, তার ডানহাতের দেয়ালে দুটো দরজা, বাঁহাতের দেয়ালে একটা। দরজার বাঁদিকে একটা দেয়াল ইংরেজী ‘এল’ অক্ষরের মত বেরিয়ে এসেছে ভেতরে ঢোকার পর বোঝা গেল সেটা স্নানঘরের উপদৃদ্ধি।
ডানদিকের দেওয়ালের প্রথম দরজাটা রান্নাঘরের এবং দ্বিতীয়টি একটি বেডরুমের। দুটো বেডরুমের দরজা মুখোমুখি, এবং আকারে দুটোই সমান, এবং বেশ বড়।
-“আসলে আমরা চারজন থাকব তো, তাই আর একটা দিন সবাই মিলে দেখে নিলে ভালো হত…”
সাফারি স্যুট পড়া এবং মুখে সর্বদা বিড়ি ধরে থাকা লোকটি মুখটা কাঁচুমাচু করার আপ্রাণ চেষ্টা করে বলল,
-“সে কি করে হবে স্যার… আর এক পার্টি তো অ্যাডভান্স দেওয়ার জন্য একেবারে মুখিয়ে আছে… এখন আপনি আজ ফাইনাল না করলে আমি তো ফেঁসে যাব।“
-“না, বুঝতে পেরেছি কিন্তু একাই সব ডিসিশন নিয়ে নেব ? তাই ভাবছি…”
-“স্যার, আপনার সাথে আমার একটা বিশেষ সম্পর্ক বলেই আপনাকে এই ভাড়ায় করে দিচ্ছি… আর এক পার্টির কথা তো মালিক জানে না… সে তো যা ভাড়া বললাম, তাতেই রাজি হয়ে গেল।“
হ্যাঁ, খুব নিকট সম্পর্ক… আমার মেলায় হারিয়ে যাওয়া ভাই তুমি। মনে মনে কথাটা বলতে বলতে ফোনটায় তন্দ্রিকার নম্বর ডায়াল করল সে।
-“হ্যালো ! বল…”
-“বলছি, তোর কাজের চাপ কিরকম ?”
-“প্রচন্ড… ফেটে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া হয়ে যাচ্ছে…”
-“ও… কে… আসলে একটা ফ্ল্যাট দেখতে এসেছিলাম…”
-“হ্যাঁ, তো পরশু শনিবার, ওইদিন চারজনে দেখে ফাইনাল করি…”
-“সেটাই তো প্রবলেম… যে দালাল নিয়ে এসেছে, সে বলছে অন্য লোক ঝোলাঝুলি করছে।“
-“ওরকম সবাই বলে…”
-“জানি, কিন্তু এই ফ্ল্যাটের চেহারা আর ভাড়াটা খুব স্পট অন…”
-“টু বিএইচকে ?”
-“হ্যাঁ… একটা অ্যাটাচড বাথ, একটা কমন…”
-“আলো হাওয়া ? সে সব…”
-“দেখ, নতুন রঙ করা আনফারনিশড ফ্ল্যাট… আলো তো প্রচুর দেখছি…”
-“আর ডিপোসিট ? ভাড়া ?”
-“ডিপোসিট ৭০, ভাড়া ২০, আর এনার দালালি ২৫ চাইছে।”
-“চাকরি ছেড়ে এবার দালালীই করতে হবে মনে হচ্ছে…”
অন্বয় হেসে ফেলে… একটু হেসে বলে,
-“তাহলে কি করব বল ?”
-“একবার প্রবাল আর অজেয়ার সাথেও কথা বলে নে… ওরা গ্রীন লাইট দিলে গো ফর ইট… আর আমাকে কটা ছবি তুলে হোয়াটস্যাপ কর।”
আরও আধঘন্টা ফোনে প্রবাল এবং অজেয়াকে নিয়ে মৌখিক কুস্তি চলল, একজনকে ভিডিও কল করে, আর একজনকে ছবি পাঠানোর পর এই ফ্ল্যাটটা নেওয়াই সাব্যস্ত হল। দালালের সাথে রফা করার পর, ফ্ল্যাট থেকে বেরোবার আগে একবার প্রতিটা ঘরই ভালো করে দেখল অন্বয়। সবই ঠিক আছে, সদ্য রঙ করা হলেও, একবার ভালো করে পরিস্কার না করে বসবাস করা যাবে না। রান্নাঘরের সিঙ্ক-এ একগাদা দলাপাকানো চুল ভর্তি। শিফট করার আগে লোক ডেকে ভালো করে গোটা ফ্ল্যাটটাই ধোয়ামোছা করাতে হবে।

পাঁচতলায় ফ্ল্যাট, লিফট আছে। জায়গাটা একটা কমপ্লেক্স মত। একই রকম দেখতে তিনখানা ফ্ল্যাটবাড়ি পাশাপাশি, ভেতরে গাড়ি রাখার জায়গা, একটা খেলার মাঠ আর ছোট একটা বাগান। কমপ্লেক্স থেকে বেড়িয়ে একটু হেঁটে গেলেই যশোর রোড; তবে একটু ভেতরে হওয়ার দরুন গাড়ির শব্দ তেমন একটা ঢোকে না ভেতরে। একটা চায়ের দোকান দেখে একটা সিগারেট ধরাল অন্বয়। রোজ রোজ সেই হালীশহর থেকে যাতায়াত করাটা একটা বিড়ম্বণা হয়ে উঠেছিলা তার পক্ষে। তন্দ্রা, মানে তন্দ্রিকাও বাড়ি ছেড়ে বেড়োতে পারলে বাঁচে। আর প্রবাল তো পিজি থেকেই অফিস করছিল কয়েকদিন ধরে। কপাল তার এমনই খারাপ, দু’টো গামবাটের সাথে রুম শেয়ার করতে হয়েছে, ফলে শখের গান-গিটার একেবারেই বন্ধ। অজেয়াও ‘লিভ-টুগেদার’-এর কথা নিয়ে তার মাথা খাচ্ছিল। কিন্তু আলাদা ফ্ল্যাটে থাকতে গেলে যে খরচ, তার চেয়ে একটু ত্যাগস্বীকার করে চারজনের একটা যৌথ সংসার পাতার কথাটাই সাব্যস্ত করে সবাই। কিন্তু এ তল্লাটে ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়াই দুস্কর হয়ে উঠেছিল। অতিকষ্টে এই ফ্ল্যাটটা পেয়ে মনে মনে বেশ খুশি অন্বয়। আশা করছে বাকীদেরও পচ্ছন্দ হবে।
সিগারেটটা শেষ করে সে অফিসের পথে হাঁটা লাগায়। তার হাফবেলার ছুটি শেষ হতে চলল বলে। বসের গালাগাল খেয়ে দিন শেষ করার ইচ্ছা তার বিন্দুমাত্র নেই।
শনিবার প্রবাল বাদে বাকি তিনজনেরই ছুটি থাকে, তাই সে একটা দিন ম্যানেজ করে, ঘর গোছানোর কাজ ওইদিন থেকেই শুরু করে দেয়। আগের বাসাগুলো থেকে কিছু জিনিস নিয়ে আসে, আর কিছু জিনিস কিনতে হয়। অন্বয় একটা লোককে জোগাড় করে আনে যে বাথরুম, কিচেন ধুয়ে গোটা ফ্ল্যাটটা ঝাড় দিয়ে মুছে দেয়। খাট বিছানা পেতে, জামাকাপড়, রান্নার সরঞ্জাম গুছোতে গুছোতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে যায়। খেয়ে দেয়ে, সারাদিনের খাটাখাটনির পর বিছানায় শুয়ে চারজনেই কখন ঘুমিয়ে পড়ে খেয়াল থাকে না।
রবিবার সকালটা চাকুরীজীবীদের কাছে বিলাসিতার দিন, অন্বয়ের ঘুম ভাঙল তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। পাশে তন্দ্রিকা তখনো তন্দ্রাচ্ছন্ন। এরকম সার্থকনামা মেয়ে জীবনে দেখেনি অন্বয়। মাঝে মাঝে এই নিয়ে অনেক রসিকতাও তারা করে থাকে। যাইহোক, ঘুমন্ত তন্দ্রিকার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে হাই তুলতে তুলতে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে অন্বয়। ড্রয়িং-এ বেড়িয়ে এসেই তার ভ্রু কুঁচকে যায়। ঘরের মেঝের ঠিক মাঝখানে পড়ে রয়েছে একতাল কালো চুল। কাল অত ভালো করে গোটা ঘর পরিস্কার করার পর চুল কোথা থেকে এল ? কেউ চুল আঁচড়ে ফেলেছে ? বিরক্ত মুখে হাতে করে দলাপাকানো চুলটা মেঝে থেকে তুলতে গিয়ে সে দেখল, একটা চটচটে আঠালো জিনিস সেটার মধ্যে লেগে আছে। ডাস্টবিনে জমা করার পর, আর সেটা নিয়ে ভাবে না অন্বয়। নতুন বাড়ি, নতুন জায়গা, সেখানে চোখের আড়ালে কিছু ময়লা থেকে যেতেই পারে; হয়তো ছুঁচো বা ইঁদুরে এনে ফেলেছে। এবার প্রবাল আর অজেয়ার ঘরের দরজায় টোকা মারে সে…
কেমন লাগছে ? এ গল্পের সাথে আগের গল্পের কোনও মিল পাবেন না… সত্য ঘটনা বলেই পাবেন না…
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
LikeLiked by 1 person