ইংরেজিতে একটা কথা আছে; “Wiping your Ass” এটা একেবারেই বিলিতি আদব কায়দা, কারণ আজ অবধি, বাঙালি তথা গোটা ভারতের আশি শতাংশ মানুষ Ass, Wipe করে না, Wash করে। বাঙালি সারাজীবন কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াতে বিশ্বাসী, তাই খাওয়ার পর কব্জি থেকে কনুই অবধি লাইফবয় দিয়ে না ধুলে, গা শিরশির করে, হজমেরও গোলমাল হয়ে থাকে।
আর তাই বাহ্যের পর ভালো করে জল দিয়ে শৌচ করাটা, অনেকের মত, আমারও স্বভাব। টিস্যু পেপার বা পেপার টাওয়েল (কাগজের তোয়ালে? মরি মরি!) দিয়ে পশ্চাৎদেশ পরিস্করণ আমার দ্বারা, সিম্পলি হয় না।
এরকম কোনো সমীক্ষা হয়নি, কিন্তু হলে দেখা যাবে পেটের গন্ডগোল বাধাতে বাঙালি দুনিয়ায় এক নম্বরে; আর আমিও তার ব্যতিক্রম নই। কাল দিল্লী আসব, জানি, তবু পরশু সারাদিন গান্ডেপিণ্ডে গিলে, চোঁয়া ঢেঁকুর, আর তার সাথে, তরল… মানে আরকি, মানে আমাশা বাধিয়ে বসলাম। তার মধ্যে আমার পিতাশ্রী সক্কালবেলা দিলেন এক গেলাস ত্রিফলার জল গিলিয়ে!
আর যায় কোথায় ? গোটা দিন কমোডে বসে ‘আজি বরিশন মুখরিত…” বিকেলে একটু থিতু হয়ে বিমান বন্দরে নাহয় রওনা দিলাম। আর প্লেনে উঠে বসেও পড়লাম। কিন্তু মধ্যগগনে পৌঁছে বুঝলাম, কি প্যাঁচে পড়েছি আমি…
আসলে যত ওপরে ওঠা হয়, তত বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কমে যাওয়ার দরুন কৌটোবন্দি তরল পদার্থ সব বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়; এ ব্যাপারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তখন প্লেনে ঘোষণা চলছে, “আর মাত্র 1 ঘন্টা 55 মিনিটে আমরা নয়া দিল্লির…”
ভগবান! তুলে নাও…
আর পারা গেল না…
অতএব, শৌচালয় গমন… মলত্যাগ, এবং বেসিনে টিস্যু ভিজিয়ে… যাই হোক… এ বৰ্ণনা দিয়ে খামখা লোকের হজমের গন্ডগোল ঘটাতে চাই না আমি!
8 টায় দিল্লি পৌঁছে দিদির বাড়ি ঢুকে সবার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে… যায় হোক ! অপ্রয়োজনীয়…
যাত্রার শুরুটা ভালোই হলো, এবার দেখা যাক, আর কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য…
শান্তির আশায়…
নীল…