
ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে যার যে মত-ই হোক না কেন, হাজার আঁতেল কবিদের মনও একটু হলেও চঞ্চল হয়ে ওঠে; তবে সেটা গোলাপ বাগান ছাড়খাড় করে নয় (ডায়ালগ স্বত্ত্ব – কুনাল পালোই)। হিপোক্রীট বা মিডিওকর বদনামটা পাওয়ার অযোগ্যতা হয়তো আমার নেই, কিন্তু আজকের পোষ্ট-এর জন্য, সেটা সহ্য করার ক্ষমতাটুকু আমার আছে বলেই আমি মনে করি; তাই ভ্যালেন্টাইন ডে-এর আগাম উপহার, একটি কবিতা…
একটা হালকা ভেসে বেড়ানো,
আর একটা আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরা;
এই নিয়েই একটা দিন এসেছিল,
আর চলেও গেছিল না পাওয়ার অনুভূতিতে-
আর তারপর মেঘ কেটেছিল;
চাঁদের হাসিতে জেগেছিল রাত
আর বুঝেছিলাম, পূর্ণিমার পূর্ণতা কোথায়।
কোথায়ই বা আকাশের ব্যাপ্তিকে ছাপিয়ে,
এক সুর বেজে উঠেছিল;
যে সুরে কথা বলেছিল কবিতা;
ছন্দে ছন্দে দুলেছিল ঘাসফুল-
আর নিজের অজান্তেই হাতে ঠেকেছিল আর একটা হাত।
বিশ্বাস করার আগেই মুঠো হয়েছিল শক্ত-
আর পা চলেছিল পথে,
কখনো এলোমেলো, কখনো বা দৃঢ়- প্রতিপদে।
একটু একটু করে রঙ বদলেছিল আকাশ;
আর চাঁদ মেঘের আবডাল খুঁজেছিল আবার-
অন্ধকারে খাওয়া হোঁচট সামলে, আবার এগিয়েছিল পা।
অনেক পথের শেষে, আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমরা;
পূর্ণিমা ফের কুর্নিশ করছে হেসে।
এই কি তবে পথের শেষ ?
চলা থামবে ? এই কি বিশ্রাম ?
চাঁদের আলো ফের পথ দেখায়;
যে পথ অনেক দূরে দিগন্তে মিশেছে-
পথের শেষে কি আছে,
সেটা এখনো অজানা;
কিন্তু থামার উপায় নেই;
কারণ হাতে হাত আছে,
আর আছি দু’জন-
একা থেকে একান্তের সন্ধানে,
একলা থেকে একসাথের উদ্দেশ্যে…
শান্তির আশায়,
নীল…
পুনশ্চ- এই সপ্তাহান্তে বিষয় গোয়েন্দার দ্বিতীয়, এবং আশা করি শেষ পর্ব পোষ্টিত হবে… কথা দিলাম…